রাজশাহী রেলওয়ে কর্মীদের গাফিলতির কারণেই ঘটেছে ট্রেন দুর্ঘটনা

রাজশাহী রেলওয়ে কর্মীদের গাফিলতির কারণেই ঘটেছে ট্রেন দুর্ঘটনা

 নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলওয়ের কর্মীদের গাফিলতির কারণেই রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছি দীঘলকান্দি গ্রামে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। রেলওয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। এ নিয়ে রেলওয়ের একজন বিভাগীয় কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। একজন সহকারী প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেভাবে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের দোতলার একটি কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বণিক, প্রধান সংকেত প্রকৌশলী অসিম কুমার তালুকদার ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মাসাদুল হক প্রমুখ।

১০ জুলাই চারঘাটের দীঘলকান্দিতে তেলবাহী ট্রেনের আটটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। এতে প্রায় ২৮ ঘণ্টা রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আবদুর রশিদ নামে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একজন সহকারী প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীঘলকান্দি এলাকায় একটি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। ওই সড়কটির সংস্কারকাজ চলছিল। এতে রেললাইনেও কিছু কাজ করতে হয়। কাজটি করেছিলেন রেলের কর্মীরা। কাজ শেষে স্লিপারের সঙ্গে লাইন আটকানো কয়েকটি পিন তারা লাগাননি। ফলে প্রায় ২৮ টন ওজনের ৩১টি ওয়াগনের ওই ট্রেনটি সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহীদুল ইসলাম বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেলের কয়েকজন কর্মী, ম্যাট ও প্রকৌশলীর গাফিলতির জন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। তাই ওই বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন একজন সহকারী প্রকৌশলী। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, রেলপথের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন ২২টি ট্রেন চলতে পারে। সেখানে চলাচল করে ৫০টি ট্রেন। এমন বাস্তবতায় সিডিউল হেরফের হয়। এ সমস্যা সমাধানে নতুন রেলপথ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।

 মতিহার বার্তা ডট কম – ২৩  জুলাই  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply